Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

সালাতের পরে ও সাধারণভাবে ‘আরাফাহ’র দিনে, ‘ঈদুল আযহায়ে এবং তাশরীকের দিনগুলোতে তাকবীর – আল-ইমাম ইবন বায (রাহিমাহুল্লাহ) দ্বারা রচিত

Share On :

 

 

তাশরীকের দিনগুলোতে সালাতের পর তাকবীর (পড়া) বৈধ এবং সাহাবাগণ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) থেকে তা প্রমাণিত। তবে যে হাদীসটিকে নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাথে সম্পৃক্ত করা হয় সেটি যা’ঈফ।

এই কারনে যুলহিজ্জাহ্’র প্রথম দিন থেকে শুরু করে পুরো দশ দিনই তাকবীর পড়া হয়।

ইবন ‘উমার এবং আবু হুরাইরা (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) থেকে বর্ণিত যে তারা এই দশ দিনই বের হতেন ও হাটে-বাজারে গিয়ে তাকবীর পড়তেন এবং লোকজন তাদের তাকবীর পড়া শুণে তাকবীর পড়তেন। সাহাবীগণ, ‘উমার এবং তাদের একটি দল (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুম) ‘আরাফাহ’র দিন থেকে শুরু করে তাশরীকের শেষ দিন (১৩ই যুলহিজ্জাহ্) পর্যন্ত প্রত্যেক সালাত শেষে তাকবীর পড়তেন।

‘উমার (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) মিনায় নিজ তাবুতে তাকবীর পড়তেন (এমনকি) মানুষজন সেটা শুনতে পেতেন ও তার তাকবীরের সাথে তারাও তাকবীর পড়তেন। অতএব তাকবীর পড়ার ক্ষেত্রে শরীয়তে বৈধতা রয়েছে তবে এটা বাধ্যতামূলক (কোন আমল) না। ‘আরাফাহ’র দিন, নাহ্’রের (ঈদুল আযহার) দিন, তাশরীকের সমস্ত দিনগুলোতে, নির্দিষ্ট করে সালাতের শেষে ও দিনে-রাতে বিভিন্ন সময়ে এটা (আমল) করা সুন্নাহ্।

১লা থেকে ৮ম যুলহিজ্জাহ্’র এই সময়েটুকুর ক্ষেত্রে (নিয়ম হলো) তাকবীরগুলোকে (শুধুমাত্র) সালাতের পর নির্দিষ্ট না করে সাধারণভাবে পড়া। একজন ব্যাক্তি সে রাস্তায় থাকা অবস্থায়, নিজ বাসায়, নিজ বিছানায় ইত্যাদিতে তাকবীর পড়বে। এরপর ‘আরাফাহ্’র দিন থেকে নিয়ে শুরু করে তার পরবর্তী সময়ে, সমস্ত মুসলিমরা রাস্তা-ঘাটে, মাসজিদে, হাটে-বাজারে ও প্রত্যেক সালাতের শেষে তাকবীর পড়বেন। অধিকাংশ ‘উলামায়ে কিরামগণ এই মতের উপরই প্রতিষ্ঠিত যে এটি (এই আমলটি) একটি সুন্নাহ্ (বাধ্যতামূলক না)

তাকবীর পড়ার নিয়মটি জোড় (সংখ্যক) তাকবীর (পড়ার) মাধ্যমে হতে পারে:

الله أكبر الله أكبر لا إله إلا الله، الله أكبر الله أكبر ولله الحمد

এবং কিছু সংখ্যক সাহাবী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) বেজোড় সংখ্যক তাকবীর দিয়েও তাকবীর পড়তেন:

الله أكبر، الله أكبر، الله أكبر، لا إله إلا الله، والله أكبر، الله أكبر، ولله الحمد

জোড় হোক অথবা বেজোড় এর সবকটাই ভালো। কেউ চাইলে অতিরিক্ত পড়তে পারে:

الله أكبر كبيراً، والحمد لله كثيراً، وسبحان الله بكرة وأصيلاً

(উপরোক্ত তাকবীরটি) সাহাবাগণ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) এবং নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে (সাহীহ) সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। তবে প্রত্যেক ব্যাক্তির উচিত হবে তা একাকী পড়া-একত্রে (জামা’আতে) না, প্রত্যেকে নিজে নিজে পড়বে, জামা’আতবদ্ধ ভাবে না-আর যদি এমনটি হয় যে কারো কন্ঠস্বর তার ভাইয়ের কন্ঠস্বরের সাথে মিলে গেছে, তাহলে এতে কোন ক্ষতি নেই। আর তাকবীরের শুরুর অংশ থেকে শেষ অংশ পুরোটাই জামা’আতবদ্ধ ভাবে পড়ার কোন ভিত্তিই শরীয়তে নেই।

দেখুন: https://binbaz.org.sa/fatwas/8774 (সংক্ষেপিত)

ইবন মাস’উদের (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) তাকবীর:

الله أكبر، الله أكبر، الله أكبر، لا إله إلا الله، والله أكبر، الله أكبر، ولله الحمد

সূত্র: মুসান্নাফ ইবন আবী শাইবাহ: ৪/১৯৫-১৯৬ নং.৫৬৭৯ (‘আব্দুল্লাহ ইবন মাস’উদ (রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু) আরাফাহ্’র দিন ফাজর থেকে নিয়ে শুরু করে নাহ্’র এর দিন ‘আসরের সালাত পর্যন্ত তাকবীর পড়তেন)

কেননা এই দিনগুলোতে আল্লাহকে অধিক স্মরণ করা হয়। (এই প্রসঙ্গে) আবী শাইবাহ এবং আল-হাকিম থেকে বর্ণিত হয়েছে, “আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) ‘আরাফাহ’র দিন ফাজরের পর থেকে নিয়ে তাশরীকের শেষ দিন ‘আসর পর্যন্ত তাকবীর পড়তেন এবং তিনি ‘আসরের পরও তা করতেন (একই দিনে)” (দেখুন আল-ইরওয়া, নং.৬৫৩-৬৫৪)

তাই, পরিশেষে, তাকবীর শুধুমাত্র সালাতের পরেই নির্দিষ্ট করে পড়া উচিত হবে না,বরঞ্চ সালাতের পর থেকে শুরু করে সবসময় পড়া উচিত।

Translated from: https://abukhadeejah.com/takbirs-after-the-prayers-arafah-eid-adha-days-tashreeq-ibn-baz/

 

 

 

Recommended Readings

Support The Da'wah in Bangladesh

May Allāh Bless You

%d