
ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন: “সালাফরা এবং প্রখ্যাত ‘আলিমরা এই ব্যাপারে একমত যে সকল বান্দারা সর্বপ্রথম যে বিষয়ের জন্য আদিষ্ট তা হচ্ছে শাহাদাতান, এবং কেউ যদি অপ্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় এই ঘোষণা দেয় তাহলে প্রাপ্তবয়স্ক হবার পর তার জন্য এটা নবায়ন করা আর আবশ্যক থাকে না।” দার’উত তা‘আরুদ্ব (৮/১১)
ইবনুল ক্বায়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন: “তাওহীদ হলো সর্বপ্রথম বিষয় যার মাধ্যমে ইসলামে প্রবেশ করা হয় এবং সর্বশেষ যার দ্বারা পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়া হয়।” যাদুল মা‘আদ (২/২২)
ইবনু কাছীর (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন: “বান্দাদের জন্য সর্বপ্রথম আবশ্যকতা হচ্ছে এই বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যে আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার অর্থে ‘ইবাদতের হকদার কেউ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই।” তাফসীরুল ক্বোরআনিল আযীম (৫/২৭৭)
শাইখ সালিহ আল-ফাওযান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন: “বান্দার উপর সর্বপ্রথম আবশ্যকতা হলো আল্লাহর ‘ইবাদত করা। আর তাঁকে চেনার ক্ষেত্রে নিজের সহজাত প্রকৃতি, বুদ্ধিলব্ধ জ্ঞান, জাগতিক নিদর্শনসমূহ এবং ক্বোরআনে বর্ণিত নিদর্শনসমূহের মাধ্যমে তারা তাঁকে চিনতে পারেন।” শারহুদ-দুররাতিল মুদ্বিয়্যাহ(পৃ.৭৩)
এই সমস্ত কিছু হচ্ছে ইলমুল-কালাম চর্চাকারীদের বিরুদ্ধে প্রমাণ যারা দাবি করে সর্বপ্রথম বিষয় হলো “অনুসন্ধান” (তথা মহাবিশ্বের উৎপত্তি প্রমাণের মাধ্যমে আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করা)। এবং তাদের মধ্যে কেউ কেউ একে ‘সন্দেহ’ বলেও আখ্যায়িত করে, যা কেবল যৌক্তিক প্রমাণাদি দিয়ে নিরসনের দ্বারা প্রকৃত ঈমান হাসিল সম্ভব বলে তারা দাবি করে। এটা সম্পূর্নরূপে মিথ্যা, কেননা আল্লাহর অস্তিত্বের প্রতি ঈমান হচ্ছে সহজাত প্রকৃতিলব্ধ এবং অপরিহার্য একটি বিষয়। একজন স্রষ্টার অস্তিত্বকে প্রমাণ করার জন্য প্রথমে মহাবিশ্বের উৎপত্তিকে প্রমাণ করা কোনো পূর্বশর্ত হতেই পারে না, কেননা তাঁর অস্তিত্বকে আরও অনেক ভাবে সাব্যস্ত করা সম্ভব (যা আমরা ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি)।
শাইখ আবূ ইয়াদ্ব (হাফিযাহুল্লাহ)
https://t.me/abuiyaadsp