
জঙ্গিবাদীরা শয়তানের পথে লড়াই করে
মুসলিম ও কাফের উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে একজন মুসলিম আলিম বলেছেন, যেই সমস্ত জঙ্গিবাদীরা সমাজে ভীতি সঞ্চার করে তারা শয়তানের পথে লড়াই করে – তাই আলিম ও অভিভাবক উভয়ের কর্তব্য হলো তাদের যুবসমাজকে চরমপন্থী, রক্তপিপাসু সন্ত্রাসীদের মতাদর্শ থেকে রক্ষা করা এবং এই সন্ত্রাসীদের বিশ্বাসঘাতকতা থেকে ইসলামকে মুক্ত করে দ্বীনের মৌলিক ভিত্তিসমূহ সমুন্নত করা।
মুসলিম আলিম, শাইখ সালিহ আল-ফাওযান বলেছেন: সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য এবং শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ ﷺ , তাঁর পরিবার ও তাঁর সাহাবীদের উপর।
জননিরাপত্তার অপরিহার্যতা
এতে কোনো সন্দেহ নেই যে (সমাজে) নিরাপত্তার প্রসার একটি অপরিহার্য, অত্যাবশ্যকীয় লক্ষ্যমাত্রা – মানবজাতীর জন্য যার প্রয়োজনীয়তা খাদ্য ও পানীয়র চেয়েও বেশি। এই কারণে, ইব্রাহীম (‘আলাইহিস্ সালাম) তাঁর দু’আতে খাদ্যের চেয়ে নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিয়ে আল্লাহর কাছে অনুরোধ করেছিলেন:
হে রব, এই ভূমিকে নিরাপদ করুন এবং এর বাসিন্দাদের ফলমূল দিয়ে রিযক প্রদান করুন। (২:১২৬)
কেননা (সমাজে) আতঙ্ক বিরাজ করলে মানুষ খাবার ও পানীয় উপভোগ করতে পারে না। কারণ ভয় ও আতঙ্ক ঐ পথগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে দেয় যার মাধ্যমে মানুষের খাদ্যদ্রব্য স্থানান্তর করা হয়। তাই আল্লাহ তাদের (জঙ্গি ও অপরাধীদের) জন্য (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে) সবচেয়ে কঠোর শাস্তি নির্ধারণ করেছেন৷ তিনি বলেছেন:
যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, আর যমীনের বুকে ধংসাত্মক কাজ করে বেড়ায়, তাদের শাস্তি এটাই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলে চড়ানো হবে, অথবা এক পাশের হাত ও অপর পাশের পা কেটে ফেলা হবে, অথবা তাদের দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে; এটাতো দুনিয়ায় তাদের জন্য লাঞ্চনা, আর আখিরাতেও তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। (৫:৩৩)
ইসলাম কর্তৃক সংরক্ষিত পাঁচটি মৌলিক চাহিদা
নিম্নোক্ত পাঁচটি মৌলিক চাহিদা রক্ষার্থে ইসলামের আবির্ভাব : ধর্ম (ইসলাম), জীবন, বোধশক্তি, মান-মর্যাদা ও সম্পদ। যারা এই চাহিদাগুলোকে লঙ্ঘন করবে তাদের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে; এই (চাহিদাগুলোর লঙ্ঘন) মুসলিমদের সাথে বা মুসলিমদের সাথে চুক্তিবদ্ধ কাফেরদের যে কারও সাথেই হয়ে থাক না কেনো। অতএব, চুক্তিবদ্ধ কাফেরদের এই অধিকারগুলো আছে যা মুসলিমদের আছে এবং তাদের উপর এই বাধ্যবাধকতাগুলো আছে যা মুসলিমদের উপর আছে। নবী ﷺ বলেছেন:
যে ব্যক্তি চুক্তির অধীনে থাকা কোনো (কাফেরকে) হত্যা করবে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।
আর তিঁনি, সুবহানাহু ওয়া তা’আলা, বলেছেন:
আর যদি মুশরিকদের কেউ তোমার কাছে আশ্রয় চায়, তবে তাকে আশ্রয় দাও যাতে সে আল্লাহর বাণী শুনতে পারে। অতঃপর তাকে তার নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দাও। (৯:৬)
বিশ্বাসঘাতক শত্রুর সাথেও ন্যায়বিচার
মুসলিমরা যদি চুক্তিবদ্ধ কাফেরদের ব্যাপারে এ আশঙ্কা করে যে তারা চুক্তি ভঙ্গ করতে পারে তখন মুসলিমদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা বৈধ হবে না যতক্ষণ না মুসলিমরা তাদের মধ্যকার চুক্তি অবসানের ঘোষণা দিচ্ছে। কোনো স্পষ্ট ঘোষণা ছাড়া তাদের উপর আচমকা আক্রমণ বৈধ নয়। তিনি, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেছেন,
আর যদি তুমি কোনো সম্প্রদায় থেকে বিশ্বাসঘাতকতার আশঙ্কা করো, তখন (তাদের চুক্তি) তাদের দিকে সোজা নিক্ষেপ কর যাতে (তোমাদের মাঝে) সমান সমান অবস্থা বিরাজিত হয়। নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশ্বাসঘাতকদের পছন্দ করেন না। (৮:৫৮)
কাফের নাগরিকদের জান, মাল ও সম্মানের সংরক্ষণ
যারা মুসলিমদের সাথে চুক্তির আওতাধীন তারা কয়েক শ্রেণীর:
ক) যে ব্যক্তি নিশ্চিত নিরাপত্তার চুক্তি নিয়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে মুসলিমদের দেশে প্রবেশ করে অতঃপর সে ঐ কাজ সম্পন্ন করে নিরাপদে নিজ দেশে ফিরে যায়।
খ) যে ব্যক্তি মুসলিম ও কাফির উভয়ের মাঝে যে শান্তি চুক্তি আছে তার আওতাধীন। উভয় পক্ষের মাঝে চুক্তির অবসান না হওয়া পর্যন্ত এই ধরণের ব্যক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। তার বিরুদ্ধে সীমালংঘন করা কারো জন্য জায়েয নয়, যেমন মুসলিমদের কারো বিরুদ্ধে সীমালঙ্ঘন করা তার জন্য বৈধ নয়।
গ) যে ব্যক্তি জিযইয়াহ আদায়ের মাধ্যমে মুসলিমদের শাসন ব্যবস্থার অধীনে চলে আসে (যা তাকে সামরিক দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি প্রদান করে ও তাকে তার ধর্ম পালনে পরিপূর্ণ অধিকার প্রদান করে এবং তার জান, মাল ও সম্মানের সম্পূর্ণ সুরক্ষা দিতে বাধ্য করে)।
কাফেরদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন করা হলো বিশ্বাসঘাতকতা
উপরল্লিখিত সকল শ্রেণীর কাফেরদের জান, মাল ও সম্মানের নিরাপত্তা ইসলাম নিশ্চিত করে। তাই মুসলিমদের মধ্যে কেউ তাদের বিরুদ্ধে সীমালঙ্ঘন করলে সে (মূলত) ইসলামের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করল এবং সে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির হকদারও বটে। মুসলিম ও কাফেরদের প্রতি ন্যায়বিচার করা বাধ্যতামূলক, যদিও কিনা তারা কোনো চুক্তির আওতাধীন না বা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে বসবাসরত না বা তারা মুসলিমদের অধীনে (বসবাসরত) না। তিনি, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া-তা’আলা বলেছেন:
তোমাদেরকে যারা মাসজিদুল হারাম থেকে বাধা প্রদান করেছিল, তাদের প্রতি শত্রুতা তোমাদেরকে যেন অবশ্যই সীমালঙ্ঘনে প্ররোচিত না করে..।(৫:২)
এবং তিনি বলেছেন:
হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর পথে স্বাক্ষীদাতা হিসেবে ন্যায়ের উপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকো। কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি শত্রুতা তোমাদেরকে যেন ইনসাফ ত্যাগ করাতে প্ররোচিত না করে, ন্যায়বিচার করো, এটা তাক্বওয়ার নিকটবর্তী...। (৫:৮)
তাদের উদ্দেশ্যে যারা সমাজে ত্রাস সৃষ্টি করে
যারা (একটি সমাজের) নিরাপত্তার বিরুদ্ধে সীমালঙ্ঘন করে তারা হয়তো খারিজী (চরমপন্থী), নতুবা তারা মহাসড়কে ডাকাতি করে, নতুবা তারা কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই প্রত্যেক শ্রেণীর জন্য একটি কঠোর, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে যাতে কোরে অপরাধ থেকে তাদের (এবং যারা অনুরূপ অপরাধ করার কথা ভাবছে তাদের) বিরত রাখা যায় ও এর দ্বারা মুসলিম ও চুক্তির অধীনে থাকা কাফের উভয় (যেন নিরাপদে থাকতে পারে) বা (ইসলামী রাষ্ট্র) যাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে বা যারা (সাধারণ) নাগরিক তারা সকলেই (এদের অনিষ্ট থেকে যেন) নিরাপদে থাকতে পারে। যারা বিভিন্ন স্থানে বোমা হামলা চালায়, মুসলিম-অমুসলিমদের জান যা নিরাপদ ও মাল যা সম্মানিত তা ধ্বংস করে, নারীদেরকে বিধবা ও শিশুদের এতিমে পরিণত করে, এরাই হলো তারা যাদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন:
এবং মানুষের মধ্যে এমনও কিছু লোক আছে পার্থিব জীবনে যাদের কথা তোমাকে চমৎকৃত করে, আর সে নিজের অন্তরস্থ (সততা) সম্বন্ধে আল্লাহকে সাক্ষী রেখে থাকে, কিন্তু বস্তুতঃ সে হচ্ছে কঠোর কলহপরায়ণ ব্যক্তি। যখন সে প্রত্যাবর্তন করে তখন সে দুনিয়ায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এবং শস্য-ক্ষেত্র ও জীব-জন্তু বিনাশ করে; এবং আল্লাহ ফাসাদকে ভালোবাসেন না। যখন তাকে বলা হয়, 'আল্লাহকে ভয় করো', তখন অহংকার তাকে গুনাহর দিকে ধাবিত করে, জাহান্নামই তার জন্য যথেষ্ট আর তা কতই না জঘন্য আবাসস্থল! (২:২০৪-২০৬)
বিশ্বাসঘাতকতা ও ফাসাদ জিহাদের অন্তর্ভুক্ত না
আর এটা আশ্চর্যের বিষয় যে, সেই সীমালঙ্ঘনকারীরা যারা (নিজেরাই) ইসলামের বিধান পরিত্যাগকারী, তাদের কৃতকর্মকে “আল্লাহর পথে জিহাদ” নামে নামকরণ করে। এটি (নিঃসন্দেহে) আল্লাহর উপর একটি চরম মিথ্যা অপবাদ। কেননা স্বয়ং আল্লাহ একে ফাসাদ বলে ঘোষণা দিয়েছেন একে “জিহাদ” বলে আখ্যায়িত করেননি। যাইহোক, আমাদের এই বিষয়টি জেনে আশ্চর্য হওয়ার কোনো কারণ নেই যে, এই লোকদের (আদর্শগত) পূর্বপুরুষেরা ছিলো খারিজী (চরমপন্থী বিদ্রোহী) যারা, নবী ﷺ এর সাহাবীদের কাফের বলে ঘোষণা দিয়েছিল ও সুপথপ্রাপ্ত খলিফাদ্বয় ও জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্তদের (আশারাহ আল-মুবাশ্বারা) অন্তর্ভুক্ত তথা উসমান এবং আলীকে (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা) হত্যা করেছিল। তারা তাদের হত্যা করেছিল ও (প্রতারণার ছলে) তাদের এই কর্মকে “আল্লাহর পথে জিহাদ” নামে নামকরণ করেছিল। অথচ এটা ছিলো শয়তানের পথে জিহাদ। মহান আল্লাহ বলেন:
যারা ঈমান এনেছে তারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে এবং যারা কাফের তারা তাগুতের (শয়তানের) পথে জিহাদ করে। (৪:৭৬)
জঙ্গিদের কর্মকান্ড থেকে দ্বীন ইসলাম মুক্ত : ইসলামের নবী ﷺ তাদেরকে হত্যা করার আদেশ দিয়েছেন
তাদের কৃতকর্মের জন্য ইসলামকে দায়ী করা যাবে না যেমনটি ইসলামের শত্রুরা তথা কাফের ও মুনাফিকরা করে থাকে। তারা বলে, ইসলাম ধর্ম জঙ্গিবাদীত্বের ধর্ম। এর প্রমাণ হিসেবে সেই অপরাধীদের কর্মকান্ডকে তারা ব্যবহার করে। অথচ তাদের এই কাজগুলো ইসলাম মোটেও সমর্থন করে না। এমনকি শুধু ইসলাম না, বরং অন্য কোনো ধর্ম এই (গর্হিত) কাজকে প্রত্যয়ন করে না। এটি মূলত একটি বিদ্রোহী মতাদর্শ যার অনুসারীদের হত্যা করার জন্য নবী ﷺ উৎসাহিত করেছেন। তিনি বলেছেন:
যেখানেই তোমরা তাদেরকে পাবে (খারিজী বিদ্রোহীদের) হত্যা করবে।
যে তাদেরকে হত্যা করবে তার জন্য তিনি বিরাট পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি পর্যন্ত দিয়েছেন। (তবে শুধুমাত্র) একজন মুসলিম শাসকের অধীনেই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাতে হবে, যেভাবে নবী ﷺ এর সাহাবীগণ, আমীরুল মু’মিনীন আলী বিন আবী তালিবের (রাদিয়াল্লাহু আনহু) নেতৃত্বে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন।
রাজনৈতিক চিন্তাধারায় দীক্ষিত ও চরমপন্থীদের কাছ থেকে জঙ্গিবাদীরা তাদের মতাদর্শ শিখেছে, মুসলিমদের প্রতিষ্ঠান থেকে নয়
কিছু মুনাফিক ও অজ্ঞ ব্যক্তিরা দাবি করে যে, ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলোই মূলত তাদেরকে এই আদর্শে দীক্ষিত করে তুলেছে এবং তারা মনে করে যে (ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলোর) পাঠ্যসূচী এই বাতিল আদর্শকে ঘিরেই প্রতিষ্ঠিত। তাই, পাঠ্যসূচী পরিবর্তন করার সমর্থনে তারা দাবি উপস্থাপন করে থাকে। আমরা (জবাবে) বলি : নিঃসন্দেহে, এই মতাদর্শের (জঙ্গিবাদীত্বের) প্রবক্তারা ইসলামী কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক পাশ করেনি বা তারা মুসলিম উলামাদের কাছ থেকে ইলম অর্জন করেনি কারণ তারা (নিজেরাই) এই সমস্ত স্কুল, ইনস্টিটিউট ও অনুষদে পড়াশোনা করাকে হারাম বলে ঘোষণা দেয় (কারণ তারা বিশ্বাস করে যে গোটা মুসলিম সমাজ ইসলাম ত্যাগ করেছে এবং মুরতাদ্দ হয়ে গিয়েছে)।
সন্ত্রাসীরা মুসলিম আলেমদেরকে তুচ্ছ–তাচ্ছিল্য করে যাতে যুব–সমাজের মধ্যে যারা অজ্ঞ তাদের খুব সহজেই বিপথগামী করা যায়।
তারা মুসলিম আলেমদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করে ও তাদের অজ্ঞ বলে ঘোষণা দেয় ও তাদেরকে “সুলতানদের বেতনভুক্ত শ্রমিক” হিসেবে আখ্যায়িত করে। অথচ বিপথগামী মতাদর্শের মতাদর্শী ও তাদের মতই অর্বাচীন তরুণদের কাছ থেকে তারা দ্বীন শিক্ষা করে – ঠিক যেমনিভাবে তাদের পূর্বসূরিরা (এই একই বিপথগামী মতাদর্শের ভিত্তিতে) নবীর ﷺ সাহাবীগণের মধ্যে যারা আলেম হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন, তাদের অজ্ঞ বলে ঘোষণা দিয়েছিল ও তাদেরকে কাফের বলে ঘোষণা দিয়েছিল।
আলেম সমাজ ও পিতামাতার করণীয়
আজ আমরা আশা করছি পিতামাতাগণ তাদের সন্তানদের প্রতি মনোযোগী হবেন, তাদের ধ্বংসাত্মক মতাদর্শের প্রবক্তাদের কাছে ছেড়ে দিবেন না, যারা তাদের (সন্তানদের) বিপথগামী মতাদর্শ ও বাতিল মানহাজের দিকে পরিচালিত করে। সন্দেহজনক বৈঠক, অজানা গন্তব্যে সফর বা “বিশ্রাম ক্যাম্প” এর উদ্দেশ্যে নিজ সন্তানদের বের হতে দেওয়া অনুচিত, কেননা এই সবই হলো বিপথগামী লোকদের চারণভূমি আর তা (মানুষরুপী) হিংস্র নেকড়েদের জন্য তাদের শিকার করার ক্ষেত্র বিশেষ। খুব অল্প বয়সে তাদের দেশের বাইরে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া অনুচিত। একই সাথে স্কুল, মসজিদ ও মিডিয়ার মাধ্যমে সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া ও প্রামাণিক [ইসলামী] ‘আকীদা শিক্ষা দেওয়া আলেমদের কর্তব্য, যাতে প্রতিরক্ষাকারীদের সামান্য উদাসীনতা দেখে, পথভ্রষ্টকারীরা অন্ধকারে বেরিয়ে এসে (ফাসাদ সৃষ্টি করার) কোনো সুযোগ না পায়। আল্লাহ আমাদের সকলকে উপকারী জ্ঞান অর্জন ও সৎকর্ম সম্পাদনে সফলতা দান করুন। শান্তি ও রহমত বর্ষিত হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ ﷺ, তাঁর পরিবার ও তাঁর সাহাবীদের উপর।
শাইখ সালিহ আল-ফাওযান,জারীদাতুর-রিয়াদ, ২১/৩/১৪২৪ হিজরী