Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

খ্রীস্টান ও অন্যান্য অমুসলিমদের উৎসবে অংশগ্রহণ করার বিধান

Share On :

আশ-শাইখ আব্দুল আযীয বিন বায (রাহিমাহুল্লাহ)

 

প্রশ্ন: আমাদের এক ভাই বলছেন, বর্তমান সময়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে কিছু মুসলিমরা খ্রীস্টানদের সাথে তাদের জন্মদিন বা ক্রিসমাসের উৎসবে অংশগ্রহণ করছেন। তারা একে ক্রিসমাস নামেও নামকরণ করে থাকে। এ ব্যাপারে তিনি আপনার কাছে দিক-নির্দেশনা চাচ্ছেন।

উত্তর: কোন মুসলিম পুরুষ ও নারীর জন্য খ্রীস্টান, ইহুদী বা অন্য কোন কাফির গোষ্ঠীর ঈদ-উৎসবে অংশগ্রহণ করা জায়েজ নয় বরং এগুলোকে ত্যাগ করা ওয়াজিব। কারণ যে কোন গোষ্ঠীর অনুকরণ করে সে ঐ গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে তাদের অনুকরণ করা থেকে ও তাদের চরিত্র ধারণ করা থেকে সাবধান করেছেন।

তাই মুমিন পুরুষ ও নারীদের এই ব্যাপারটা থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং কোন ভাবেই যেন এসব ঈদ-উৎসব পালনে সহযোগিতা না করে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এসকল উৎসব আল্লাহর শরীয়তের বিরোধী। তাই এই কাজে অংশগ্রহণ করা, এসব কাজ যারা করে তাদেরকে সহযোগিতা করা জায়েজ নয়। এমনকি চা, কফি ও পাত্র (বাসন-পেয়ালা) দিয়েও সাহায্য করা জায়েজ না।

আর আল্লাহ তায়ালা বলেন:

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلا تَعَاوَنُوا عَلَى الإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ 

“তোমরা ভালো ও তাক্বওয়ার কাজ একে অপরকে সহযোগিতা করো এবং পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করো না”। [সূরাহ আল-মায়িদাহ: ২]।

 

তাই কাফেরদের সাথে তাদের ঈদ-উৎসবে শরীক হওয়া পাপ ও সীমালঙ্ঘনের কাজে সহযোগিতা করার অন্তর্ভুক্ত। প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও নারীর উপর ওয়াজিব হলো এসব পরিত্যাগ করা এবং মানুষেরা কি করে তা দেখে কোন বোধসম্পন্ন ব্যক্তির ধোঁকায় পড়ে যাওয়া উচিত নয়। ইসলামী শরীয়ত যেসব বিষয় প্রণয়ন করেছে তার প্রতি লক্ষ্য করা ওয়াজিব এবং (ওয়াজিব হলো) আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ‘আলাইহিস সলাতু ওয়াস সালাম যা আদেশ করেছেন তা পালন করা এবং মানুষ (কি করে না করে) এর প্রতি লক্ষ্য না করা। কারন সৃষ্টির অধিকাংশই পরোয়া করে না যে আল্লাহ তাদের জন্য কি বিধান প্রণয়ন করেছেন। যেমনটা আল্লাহ তাঁর মহান কিতাবে বলেছেন:

وَإِنْ تُطِعْ أَكْثَرَ مَنْ فِي الأَرْضِ يُضِلُّوكَ عَنْ سَبِيلِ اللهِ

“আর যদি আপনি যমীনের অধিকাংশ লোকের কথামত চলেন, তবে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে।” [সূরাহ আল-আন‘আম: ১১৬]।

আল্লাহ তাআলা আরো বলেন:

وَمَا أَكْثَرُ النَّاسِ وَلَوْ حَرَصْتَ بِمُؤْمِنِينَ

“আর আপনি যতই চান না কেন, বেশীর ভাগ লোকই ঈমান আনবে না।” [সূরাহ ইউসুফ: ১০৩]। শরীয়ত বিরোধী উৎসবগুলো গ্রহণ করা যাবে না যদিও মানুষ তা পালন করে।

তাই মুমিন ব্যক্তি তার এবং মানুষের কথা ও কাজকে কিতাব ও সুন্নাহ দিয়ে যাচাই করবে, আল্লাহর কিতাব ও তাঁর রাসূল (‘আলাইহিস সলাতু ওয়াস সালাম) এর সুন্নাহ দিয়ে যাচাই করবে। যা কিছু এই দুটি বা এর কোন একটির সাথে মিলবে, তা গ্রহণযোগ্য হবে যদিও মানুষ তা অগ্রহণযোগ্য মনে করে। আর যা কিছু এই দুটির বা এর কোন একটির সাথে মিলবে না, তা প্রত্যাখ্যাত হবে যদিও মানুষ তা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে।

আল্লাহ সকলকে তাওফীক্ব দান করুন ও হিদায়াত দিন।


উপস্থাপক: জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।

https://binbaz.org.sa/fatwas/6539/حكم-المشاركة-في-اعياد-النصارى-وغيرهم-من-الكفرة

Recommended Readings

Support The Da'wah in Bangladesh

May Allāh Bless You

%d bloggers like this: