
সা’ঈদ বিন মুসায়্যিব (মৃ.৯৪ হি) রাহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণিত যে তিনি এক ব্যক্তিকে ফজরের সময় রাকাতাইনের (দুই রাকাতের) বেশি সালাত পড়তে দেখলেন। সে সালাতের মধ্যে বেশি বেশি রুকু এবং সিজদাহ করছিল যার কারণে তাকে সেটা করতে তিনি নিষেধ করলেন। অতঃপর সে (সেই ব্যক্তি) বললো: ‘হে আবূ মুহাম্মাদ, আল্লাহ কি আমাকে সালাত পড়ার জন্য শাস্তি দিবেন? তিনি বললেন: না, তবে সুন্নাহ’র বিপরীত আমল করার জন্য তিঁনি তোমাকে শাস্তি দিবেন।'”
আল-আলবানী (মৃ.১৪১৯ হি) রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন:
“এটি সা’ঈদ বিন মুসায়্যিবের (রাহিমাহুল্লাহু তা’আলার) চমৎকার একটি জবাব এবং সেই সমস্ত বিদ’আতিদের বিরুদ্ধে এটা শক্তিশালী হাতিয়ার যারা যিকর এবং সালাতের নামে কতিপয় বিদ’আতি কর্মকান্ডকে ভালো এবং প্রশংসণীয় বলে বিশ্বাস করে। আবার সেগুলো থেকে তাদের নিষেধ করলে তারা আহলু-সুন্নাহ’কে এই বলে অপবাদ দেয় যে তারা (আহলু-সুন্নাহ’র অনুসারীরা) নাকি যিকর করা এবং সালাত আদায় করা থেকে তাদের (বিদ’আতিদের) নিষেধ করেন! অথচ বাস্তবতা হলো তাদের যিকর, সালাত এবং অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে সুন্নাহ’র বিপরীত যে সমস্ত কাজ রয়েছে শুধুমাত্র সেগুলো করতে তাদের নিষেধ করে থাকেন।”
সূত্র: মুসান্নাফ আব্দুর-রাজ্জাক (নং ৪৭৫৫), আল-বায়হাক্বী (২/৪৬৬), আল-বায়হাক্বী’র আল-তামহীদ (২০/১০৫), আল-ফাক্বীহ ওয়াল-মুতাফাক্কিহ (১,১৪৭), দেখুন আল-‘ইরওয়া আল-গালীল (২/২৩৬)