Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

হিযবিয়্যাহ ও বিদআহর জন্য যারা পরিচিত তাদের বক্তব্য থেকে কি আমরা ফায়দা নিবো? বলা হয়, ‘তাদের বক্তব্যে ভালোটাও আছে, সুতরাং আমরা ভালোটা নিবো ও মন্দটা বর্জন করবো?’

Share On :

হিযবিয়্যাহ ও বিদআহর জন্য যারা পরিচিত তাদের বক্তব্য থেকে কি আমরা ফায়দা নিবো? বলা হয়, ‘তাদের বক্তব্যে ভালোটাও আছে, সুতরাং আমরা ভালোটা নিবো ও মন্দটা বর্জন করবো?’

উত্তর দিয়েছেন আল্লামাহ রাবী’ আল-মাদখালী

প্রশ্ন: কিছু সংখ্যক তরুণ এমন সব বক্তাদের লেকচার শুনে যারা হিযবিয়্যার জন্য পরিচিত। তাদেরকে যখন উপদেশ দেওয়া হয়, তখন প্রতিউত্তরে তারা বলে যে সেই বক্তব্যগুলোতে তো ভালো কিছু পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তাতে আদৌ কি ভালো কিছু আছে যা তাদেরকে ঐ সমস্ত বক্তব্য শুনার বৈধতা দিচ্ছে? এই সন্দেহ অনেককে প্রভাবিত করেছে এবং এর উৎপত্তি হচ্ছে প্রত্যেকের কাছ থেকে “সত্যটুকু গ্রহণ করি ও বাতিলটুকু বর্জন করি” এই চিন্তা-চেতনা থেকে।

আল্লামাহ রাবী’ ইবনু হাদী আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) উত্তর দিয়েছেন:

“আমি পূর্বেও এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি এবং আমরা এখন পুনরায় তা দিচ্ছি – কেননা ইয়াহুদী-নাসারাদের বক্তব্যের মধ্যেও ভালো এবং মন্দ উভয়ই পাওয়া যায়। (এমনকি) সকল কাফির ও বিদআতী ভালো কথা বলে আবার মন্দ কথাও বলে। অথচ এদের (হিযবীদের) চেয়ে (তুলনামূলক) ভালো ও কম ক্ষতিকারক হওয়ার পরও সালাফরা ঐ পর্যায়ের বই-পুস্তক ও ব্যক্তিত্বদের থেকে সাবধান করতেন। সুতরাং যে নিজের দ্বীন, আক্বীদাহ ও মানহাজকে সংরক্ষণ করতে চায় তার জন্য ফিতনার মাধ্যমগুলো থেকে দূরে অবস্থান করা ওয়াজিব; যার কারণে তাদের (হিযবীদের) বইপুস্তক পড়া, রেকর্ডিং শোনা ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করা থেকে সে বিরত থাকবে। যে সফলতা চায় তার উপর ওয়াজিব হচ্ছে সফলতার তরী তথা আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল-জামা’আতের মানহাজের সাথে নিজেকে সংযুক্ত করা, পথভ্রষ্টতার দিকে নিজেকে উন্মুক্ত না করা, এবং ফিতনার সম্মুখীন হলে যে সমস্ত কিছু অন্তরকে ক্ষতিগ্রস্থ করে ফেলবে সেই সব থেকে দূরে থাকা। আল্লাহ আপনার প্রতি রহমত বর্ষণ করুন, আপনাকে সফলতা দিন এবং আপনার ভুল-ত্রুটিগুলোকে ক্ষমা করুন।

মুবাশ্বির ইবন ইসমাঈল আল-হালাবী, আবু ইসমাঈল (মৃ.২০০হি, রাহিমাহুল্লাহ), বলেছেন: ইমাম আল- আওযায়ীকে বলা হয়েছিল (মৃ.১৫৭), “এক ব্যক্তি আছে যে বলে, ‘আমি আহলুস-সুন্নাহ এবং আহলুল-বিদ’আহর সাথে বসবো।’ অতঃপর ইমাম আল-আওযায়ী বললেন: ‘এই ব্যক্তি সত্য ও মিথ্যাকে একাকার করে ফেলতে চায়।”‘ (ইবনু বাত্তাহ আল-ইবানাতুল কুবরাতে লিপিবদ্ধ করেছেন)। ইমাম আল-আওযায়ী ছিলেন আবূ ‘আমর ‘আব্দুর রাহমান ইবনু ‘আমর ইবনু আবূ ‘আমর আল-আওযায়ী (মৃ.১৫৭হি, রাহিমাহুল্লাহ), একজন ফিক্বাহবীদ (ফাক্বীহ), এবং বিশ্বস্ত (সিক্বাহ)।

 

সূত্র: শাইখ রাবী’ বিন হাদী আল-মাদখালী
মূল অডিও : রাফ’ আস-সিতার
ইংরেজিতে ভাষান্তর : আবূ খাদীজাহ
https://abukhadeejah.com/should-one-benefit-from-lectures-of-hizbees-innovators-take-good-leave-evil/
বাংলায় ভাষান্তর : মারকায আল-ইমাম আত-তাহাওয়ী

Recommended Readings

Support The Da'wah in Bangladesh

May Allāh Bless You

%d bloggers like this: