
u
‘আল্লামা রাবী’ ইবনু হাদী আল-মাদখালী (হাফিযাহুল্লাহ) বলেছেন:
‘উলামাদের বক্তব্যসমূহকে (সত্য-সঠিক ফাতাওয়াকে) এমন কিছু কথাবার্তার মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করা যার বাহ্যিক অর্থ সঠিক কিন্তু যার দ্বারা লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হলো মিথ্যাচার এবং অনিষ্ট সাধন- নিঃসন্দেহে (এই সমস্ত পন্থা) আজকাল ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। (সে বলে) “আমি অন্ধ-অনুসরণ করি না!!” অথচ আপনি দেখবেন সে মূলত অজ্ঞ, দ্বীনের ব্যাপারে কিছুই বুঝেনা এমনকি সে এই শ্রেণীর লোকদের অন্তর্ভুক্ত যাদের ক্ষেত্রে ‘উলামাদের অন্ধ-অনুসরণ করা এবং তাঁদের মান্য করে চলা (শরীয়তের দৃষ্টিতে) অতি প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। (কেননা) অন্ধ-অনুসরণ (তাক্বলীদ) এবং মান্য করা (ইত্তিবা), (উভয়ের প্রয়োজনীয়তা) রয়েছে। এমনও অজ্ঞ ব্যক্তি আছে যার জন্য অন্ধ-অনুসরণ করা অতি প্রয়োজনীয় একটি ব্যাপার। (আর যেহেতু) এমন ব্যক্তির উপর (নিজ অজ্ঞতার দরুণ) অন্ধ-অনুসরণ করা প্রয়োজনীয়, তার উচিত হলো ‘উলামাদের অন্ধ-অনুসরণ করা। (অপরদিকে যেহেতু) একজন ত্বালিবুল- ‘ইলম দলীল-প্রমাণাদির মাধ্যমে বুঝতে সক্ষম যে অমুক অমুক ‘আলিম সঠিক তাই তিনি প্রমাণ সহকারে অমুক ‘আলিমের অনুসরণ করে থাকেন (এটাই স্বাভাবিক)। (উল্লেখ্য যে) এই স্তরটি তাক্বলীদের উপরে এবং মুজতাহিদের নীচে।
তাদের মধ্যে কতিপয় লোক বলতে পারে, “আমি অন্ধ-অনুসরণ করি না”, কিন্তু বাস্তবে সে হয়তো সাধারণ কোনো লোক বা কোনো দুষ্কৃতিকারী, বা একজন চরম বিদ্বেষী যে ‘উলামাদের ব্যাপারে আজেবাজে মন্তব্য করতে চায় এবং তার ছল-চাতুরির মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে তাঁদের থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চায়। তাই যুব-সমাজ যেন এই ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করে এবং এই সমস্ত অপদার্থদের ফাঁদে না পড়ে – যারা ‘উলামাদের ব্যাপারে এত্ত দায়সারা ভাবে কথা বলে বেড়ায়।
(যে বলে) “আমি অমুক তমুকের অন্ধ-অনুসরণ করি না”, আমরা তাকে বলি “তুমি ত্বালিবুল-‘ইলম হয়ে থাকলে তোমাকে অন্ধ-অনুসরণ করার আদেশ কি কেউ দিয়েছে?” কিন্তু যে নির্দিষ্ট ‘আলিমের ব্যাপারে তুমি বলছো, “আমি তার অন্ধ-অনুসরণ করি না,”
যদি তার কাছে সত্যটা থেকে থাকে, তাহলে ইচ্ছাকৃতভাবে অন্ধ-অনুসরণ করার মিথ্যা অজুহাত দিয়ে তার কথাকে অস্বীকার করাটা কি জায়েয?” আমি যুব-সমাজকে এই জঘন্য স্বভাব থেকে সতর্ক করছি। সাধারণ মানুষের মাঝে এটা ব্যাপক আকারে প্রসার পেয়েছে যা তাদের উত্তম আখলাক্ব, দ্বীনদারী এবং সৎ চরিত্র গঠনের মাঝে বাধা দিচ্ছে।
[মারহাবান ইয়া ত্বালিবাল ‘ইলম এর কিছু অংশ থেকে সংগৃহীত পৃ.৬১-৬২]